ক্যালসিয়ামের ঘাটতি শরীরে কি কি বিপদ ডেকে আনতে পারে || Absence Of Calcium
ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপদান
ছোটবেলায় আমরা প্রায় প্রতিদিনই দুধ খেতাম ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে এবং
হাড়ের বৃদ্ধি ভালো করতে। তবে বড় হওয়ার সাথে সাথে এই অভ্যাস যেন চলেই
যায়। দুধ খাওয়া হয় কদাচিত্। তবে কেবল ছোটবেলাতেই নয়, হাড় ভালো রাখতে
বড় হওয়ার পরও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
আপনি নিশ্চয়ই জেনে আশ্চর্য হবেন যে আমাদের শরীরের ৯৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম
থাকে হাড়ে এবং কিছু থাকে দাঁতে। এ ছাড়া কিছু সফট টিস্যু এবং ফ্লুইডের
মধ্যে পাওয়া যায়। তাই হাড় মজবুতভাবে গঠনে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
প্রয়োজন।
কতটুকু ক্যালসিয়াম আমাদের প্রয়োজন? বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের
প্রতিদিন ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া প্রয়োজন। তবে গর্ভাবস্থায় এবং
যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান তাঁদের বেলায় এটি আরো বেশি
প্রয়োজন। তবে এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি-ও খেতে হবে। কেননা এটি শরীরে
ক্যালসিয়ামকে শোষণ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার থেকে আসে
ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া সবুজ শাকসবজি, বাদাম, টফু, কমলা ইত্যাদিতে
ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়ামের অভাবে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।
১) ক্যালসিয়ামের অভাবে রিকেট নামক একধরনের রোগ হয়। যা শরীরের হাড় নরম
এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ভিটামিন ডি এর অভাব দীর্ঘস্থায়ী হাড়ের
ক্ষতি করে দিতে পারে। রিকেট রোগ আগে একটি বড় ধরনের সমস্যা ছিল। তবে
বর্তমানে এ সমস্যা অনেক কমেছে।
২) ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ফ্র্যাকচার হয়। যারা ক্যালসিয়ামের অভাবে
ভোগে তারা একপর্যায়ে হাড় ফ্র্যাকচারের সমস্যায় পড়তে পারে।
মেয়েদের মনোপোজের পর এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। মেয়েদেরকে এ
সমস্যা থেকে রেহায় পেতে অবশ্যই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৩) ক্যালসিয়ামের অভাবে প্রবীণ বয়সে অস্টিয়োপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের রোগ
হয়।
এ ছাড়া পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও এই রোগ হতে পারে। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি
এর অভাব, মদ্যপান ও ধূমপানের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। এই রোগ প্রতিকারে
চিকিত্সকরা সাধারণত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকেন।
৪) এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্যালসিয়াম কাজে লাগে হাড়ের গঠন এবং শক্তি বর্ধনে।
যদি খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার না থাকে তাহলে এই হাড়ের গঠন
দুর্বল হয় এবং শক্তি কম থাকে।
৫)ক্যালসিয়ামের অভাবে হাইপোক্যালসিয়মিয়া হয়ে পেশির টিট্যানি রোগ হয়। এ
ছাড়া মুখে লাল অথবা গোলাপি রঙের র্যাশ হতে পারে। তাই এসব সমস্যা সমাধানে
খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
বন্ধুরা আজকের ভিডিওটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানান ।আর যদি ভিডিওটি যদি
ভাল লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক
ভিডিও পেতে বিডি হেলথ টপিক্স চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
0 Comments